কি ভাবে ভারত সৃষ্টি হয়েছে । ভারত সৃষ্টির ইতিহাস

 
ভারত জনসংখ্যা, ভারত বাংলা, ভারত দেশ, ভারত সরকার, ভারতবর্ষ কয়টি দেশ নিয়ে গঠিত, ভারতের আয়তন ও জনসংখ্যা, ভারতের জনসংখ্যা মুসলিম কত, মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস, ভারতের ইতিহাস, প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, ভারতের পূর্ব নাম কি ছিল, প্রাচীন ভারতের ইতিহাস, ভারতের প্রাচীন যুগের সময়কাল, দক্ষিণ ভারতের ইতিহাস, প্রাচীন ভারতের রাজবংশ, মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস, মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস সুলতানী আমল, মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস, ভারতের মধ্যযুগের সময়কাল, আদি-মধ্যযুগ বলতে কী বোঝ, আদি মধ্যযুগের সময়কাল হল, আদি মধ্যযুগের ইতিহাস

ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস । পৃথিবীর বিকাশ এবং তার পরিবর্তন কোটি কোটি বছর ধরে নির্বিচ্ছিন্ন ভাবে হয়ে চলেছে। মানুষ এবং অন্যান্য প্রানিদের বিকাশের আগে পৃথিবীর রুপ সম্পুর্ন আলাদা ছিল। বর্তমানে মাচিত্রে যে পৃথিবীকে আমরা দেখি আগে পৃথিবী এমন ছিলো না। আমরা সকলে যানি যে পৃখিবী প্রথমে একটি জলন্ত অগ্নি কান্ড ছিল। তার পর সময়ের সাথে ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে থাকে তার পর চাঁদের সৃষ্টি হওয়া পর পৃথিবীতে বৃষ্টি এবং ঋতুর আবির্ভাব ঘটে। মহাসাগর সৃষ্টি হয় এবং বিভিন্ন জীবের জন্ম হয়। এভাবে পৃথিবীতে ধীরে ধীরে জীবের অস্তিত্ত তৈরি হয়। কিন্তু আপনারা কি জানেন পৃথিবীতে আলাদা আলাদা দেশ কি ভাবে তৈরি হয়। আমাদের দেশ ভারতের জন্ম কি ভাবে হয়েছে। আজ আমরা পৃথিবীর মানচিত্রে সব দেশ গুলিতে যে ভাবে দেখি এগুলো কি চিরকাল এরকম ছিল।
 

মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস

আজকে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো এবং আরো জানাবো সেটি হলো ভারত দেশটি কি ভাবে তৈরি হয়েছে। আজকে আমারা মানচিত্রে অথবা সেটেলাইটের মাধ্যমে যেই পৃথিবীকে দেখি আসলে কোটি কোটি বছর আগে চেহারা সম্পূর্ন আলাদা ছিল। আজ থেকে প্রায় তিন শত পয়ত্রিশ মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর সমস্ত স্থল ভাগ একে অপরের সাথে সংযুক্ত অবস্থায় ছিল। অর্থাত কোনো দেশের শীমানা অথবা ভাগ ছিলোনা। আগে সবগুলো ছিল সংযুক্ত স্থল ভাগ পৃথিবীর এই বিশাল ভূমিটি পাঙ্গিয়া নামে পরিচিত ছিল। এর থেকে আলাদা হয়ে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন দেশ যেগুলো আজ বিভিন্ন দেশ নামে পরিচিত। ভুঅভ্যান্তরে অবস্থিত পাতের জন্য এই খন্ড বা দেশগুলো এক যায়গা থেকে অন্য যায় গায় চলে যায়। পৃথিবীর এই ভূখন্ড ভাঙতে শুরু করে প্রায় 175 মিলিয়ন বছর আগে। দক্ষিন গুলোতে অবস্থিত আন্টারটিকা চার্কেল থেকে।
 

ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের উৎপত্তির পটভূমি

তর পর আন্টারটিকা, ভারত, অস্ট্রলিয়া, দক্ষিন আমেরিকা এবং আপ্রিকার মত দেশগুলোর খন্ড ভেঙ্গে আলাদা হয়ে যায়। পৃথিবীর অভ্যান্তরে প্লেট বা পাশ্চমস্তানের প্রক্রিয়া অনবরত চলতে থাকে। এর পরে মূল ভূখন্ড থেকে ভেঙ্গে বিভিন্ন দেশ আলাদা হয়ে যায় এবং পৃথিবীতে পরিবর্তন আসে। কোটি কোটি বছর আগে যখন বেন্জিয়া ভাঙ্গে তখন তার দুটি ভাগ হয় যার দক্ষি ভাগকে গোন্ডয়ানা এবং উত্তর অংশকে লরশিয়া বলা হয়। পৃতিবীর এই দুটি ভাগের মধ্যে যে সামুদ্রিক অংশ নির্মিত হয় তার নাম দেওয়া হয় পারমো ট্রিয়াশিক এই প্রক্রিয়াটি এতটাই অদ্ভুত ছিলো যে এটা সম্পূর্ন হতে কয়েক কোটি বছর সময় লেগেছিল। পরবর্তীকালে লরশিয়া থেকে আলাদা ভূখন্ড গুলো এশিয়া, ইউরুপ এবং উত্তর আমেরিকা মহাদেশে সৃষ্টি করে। আর গোন্ডোয়ানা আলাদা হওয়া অংশ গুলো আপ্রিকা এবং অস্ট্রলিয়া সৃষ্টি করে।
 

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস

এভাবে পৃথিবীরি একটি ভূখন্ড ভেঙ্গে বিভিন্ন দেশের সৃষ্টি করে। কিন্তু এখন কথা হলো ভারত কি ভাবে তৈরি হলো। বর্তমানে ভৌগলিক ভাবে ভরত এশিয়ার অংশ। কিন্তু কোটি কোটি বছর আগে ভারত গন্ডনায়লন্ডলের অংশ ছিল। যখন ভারতের ভূখন্ড গন্ডনায়লন থেকে আলাদা হয় তখন অভ্যান্তরিন প্লেট চলাচলের কারনে সেটা ধীরে ধীরে এশিয়ার দিকে এগিয়ে যায়। বহুবছর ধরে চলা এই যাত্রার শেষে ওই ভূখন্ড বর্তমানে লাদাকের সাথে ধাক্কা খায় তার সাথে জুড়ে যায়। এভাবে গোন্ডনালয় থেকে আলাদা হওয়া একটি ভূখন্ড এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ন দেশে পরিনত হয় ভারত। যখন দুটি ভূখন্ডের মধ্যে ধাক্কা লাগে তখন ভারি প্লেট নিচের দিকে চলে যায় এবং হালকা প্লেটটি উপরের দিকে চলে আসে।
 

ভারতের প্রাচীন যুগের সময়কাল

লাদাকের ভূখন্ডের সাথে ভারতের দক্ষিন অঋল ভূখন্ডের সংগর্শের অলে তৈরি হয়েছে বিশাল হিমালয় পর্বত মালা এবং বর্তমানে সেটা পর্যটনের মুক্ষকেন্দ্র হয়ে উঠছে। যদি আপনারা ভেবে থাকেন মাত্র কয়েক বছরে এই সম্পূর্ন প্রক্রিয়াটি হয়েছি তাহলে একদম ভূল ভাবছেন। করন পৃথিবীর এই রুপ এবং আকার পেতে কয়েক কোটি বছর সময় লেগেছিল। ভরতের ভারী প্লেট অনবরত হিমালয়ের ‍দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আর সেই কারনে এই পর্বত গুলোর উচ্ছতা বছরের পর বছর বেড়েই চলেছে। যদিও এই নিরন্তর ঘটে যাওয়া পক্রিয়াগুলো খুব সহজে আমাদের ‍দিকে দৃষ্টিগোচর হয়ে না। কিন্তু ভুবিজ্ঞানিরা এই ঘটনাগুলো ভালোবাবে বুঝেন যে পৃথিবীতে কি কি পরিবর্তন হচ্ছে। পৃথিবীর মহা ভূখন্ডগুলো পেন্জিয়া এবং তার সাথে যুক্ত থিওরিগুলোকে সকলের সামনে আনার ক্রেডিট দেয়া হয় আলপ্রেড উইগনারকে।
 

মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস সুলতানী আমল

তিনি ছিলেন জার্মান গ্লারিসার্জার জিউপিজিষ্ট এবং একজন আবহাওয়াবিদ। তিনি তার সারাজীবন ধরে আবহাওয়া এবং পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে গবেষনা করেছেন। আলফেড অয়েগনার 1980 সালে পহেলা নভেম্বর জামার্নির বার্লিন সহরে জন্মগ্রহন করেছিলেন। তিনি তার গবেষনা থেকে বলেছিলেন যে কোটি কোটি বছর আগে এক সময় পৃথিবীতে একটি মহাভূখন্ড ছিল। সেটা সময়ের সাথে সাথেই আলাদা হয়েছে। যদি এখনো পৃথিবীর সমস্ত ভূখন্ডগুলোকে এক সাতে জুড়ে দেয়া হয় আরো একবার পেন্জিয়া তৈরি হয়ে যাবে। অয়েগনার ভূখন্ডগুলোকে আলাদা আলাদা ভাবে পরিক্ষা করেন এবং দেখেন এরা প্রত্যেকে কোনো না কোনো ভাবেই একে অপরের সাথে সংযুক্ত। তিনি তার থিওরিতে বলেছেন ভূখন্ডগুলো আলাদা হওয়ার সময় পৃথিবীর অঙ্গুরিমাল প্রানির অস্থিত্ব ছিল।
 

আদি মধ্যযুগের ইতিহাস

অয়েগনারের থিওরি পৃথিবীকে বুঝতে এবং তার নির্মান সম্পর্কে বুঝতে বিজ্ঞানী ও সাধারন মানুষকে বুঝতে অনেক সাহায্য করেছিল। যে ভাবে সময়ের পরিবর্তনে সাথে সাথে পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন এসেছে সেভাবেই বিভিন্ন দেশের ভৌগলিক নির্মান ঘটেছে। এই কথা শুনতে অদ্ভুত লাগে যে কোনো এক সময় পৃথিবীতে একটি মাত্র ভূখন্ড ছিল। কিন্তু প্রক্রিতিতে সম্ভব যা মানুষের জন্মই হোক অথবা ভূখন্ডের আলাদা হয়ে যাওয়া। তাহলে আপনারা বুঝতে পারছেন পৃথিবী কিভাবে প্রাচিন কাল থেকেই ক্রোমাগত নিজেকে বদলে পেলেছে। আর এই বদল এখনো চলেছে। আমরা বুঝতেই পারিনা অথচ এই বদল চলতেই থাকবে। যদিও এই প্রকার পরিবর্তনে কোটি কোটি সময় লাগে কিন্ত এই অদ্ভুত ও বিচিত্র পক্রিয়াটি কখনো থামেনা। যদি আপনি আজ থেকে কোটি কোটি বছর আগে পৃথিবীতে থাকতেন তাহলে হয়তো পেন্জিয়াকে দেখতে পেতেন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url