গাদ্দাফির পরিচায় । কে গাদ্দাফি । গাদ্দাফি নামের অর্থ
লৌহমানব গাদ্দাফি
বর্তমান পৃথিবীতে লিবিয়া একটি আধুনিক দেশ। লিবিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রভাবশালী সফল রাষ্ট্রনায়ক হলেন মুয়াম্মার গাদ্দাফি। তিনি ১৯৬৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর এক সামরিক বিপ্লবের মাধ্যমে লিবিয়ার ক্ষমতায় আসেন। লিবিয়া মুসলিম দেশ হওয়ায় এবং তেল সমৃদ্ধ থাকায় পশ্চিমা বিশ্ব দেশটি দখল করার জন্য পায়তারা মছে। বিভিন্ন সময় তারা দেশটির উপর বিভিন্ন শর্ত ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এত কিছুর মধ্যে ও দৃঢ় হস্তে এর শাসনকার্য পরিচালনা করেছিলেন। ১৯৬৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি লৌহ মানবের ন্যায় দেশটি শাসন করেছেন।
গাদ্দাফির পরিচয়
মুয়াম্মার গাদ্দাফি ১৯৪২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লিবিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন তার ডাক নাম হলো কাথাক্ষি। তবে বর্তমান বিশ্বে তিনি কর্নেল গাদ্দাফি নামে বেশি পরিচিত। তিনি দেশে ক্তিকামী ও বিপ্লবী নেতা ছিলেন। ১৯৫৯ সালে তার নেতৃত্বে একটি গুপ্ত সংঘ গঠিত হয়। এ সংগঠনটি দেশের নতিক পরিস্থিতিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করত। তার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ত্রিপোলির একটি স্কুলে ১৯৬১ সালের সপ্টম্বর স্বাধীনতার দাবিতে মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে স্কুল থেকে কার করা হয়। এখানেই তার শিক্ষা জীবনের ইতি ঘটে।
লিবিয়ার ইতিহাস
৯ মাস পর দেশে প্রত্যাবর্তন করে তিনি সমাজবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। ১৯৬৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর তার নেতৃত্বে চুড়ান্ত বিপ্লবের তারিখ নির্ধারিত হয়। এ বিপ্লব ইতিহাসে সেপ্টেম্বর বিপ্লব নামে পরিচিত। নির্ধারিত তারিখে বেনগাজীর বেতার ও টেলিভিশন ভবন এবং অন্যান্য অফিসারগণ সরকারি অন্যান্য দপ্তর দখল করেন। অবশেষে লিবিয়ার যুবরাজ ৭ সেপ্টেম্বর আন্দোলনের দাবি মেনে নেয়। ৮ সেপ্টেম্বর ৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি সরকার গঠিত হয় এবং গাদ্দাফি ঐ সরকারের প্রেসিডেন্ট হন।
লিবিয়ার যুদ্ধের ইতিহাস
এরপর তিনি সামরিক বাহিনীতে ভর্তি হন। সেনাবাহিনীতে তিন সমমনা অফিসারদের সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ করতে থাকেন। তিনি সামরিক অফিসারদের নিয়ে ফ্রি ইউনিট ফিসার্স নামে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। আন্দোলনকে সমগ্র দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এটি গঠন করা হয়। ১৯৬৮ সালে তিনি সামরিক প্রশিক্ষণে উচ্চতর শিক্ষা অজর্নের জন্য ব্রিটেন যান।
ইতিহাস মূলক তথ্য ছাড়াও আরো যেকোনো সরকারি এবং বেরসকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি, ফলাফল। শিক্ষা বিষয়ক যেকোনো তথ্য এবং পরীক্ষার ফলাফল পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজ এবং আমাদের ফেসবুক গ্রুপে পেতে পারেন।