নাদির শাহ এর পরিচয় | কে ছিলেন নাদির শাহ

 
নাদির শাহ,নাদির শাহ ও কোহিনুর হিরা, itihasinfo, ইতিহাস ইনফো, আম্পায়ার নাদির শাহ,নাদির শাহ ভারত আক্রমণ,নাদির শাহ লুট করা সম্পত্তি,ইরানের শাহেনশাহ খ্যাত নাদের শাহের জীবনী,ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছেন আম্পায়ার নাদির শাহ,জাহন্দর শাহ,দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ,মহম্মদ শাহ,সুলতান ফখর উদ্দিন মোবারক শাহ,সুলতান ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ,দ্বিতীয় শাহ আলম,শাহজাহান,সম্রাট শাহজাহান,দিল্লি,শাহজাহান এবং ওরঙ্গজেব,আহম্মদ শা,ইংরেজ শাসন,এডিডি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ,জেনারেল নলেজ,বাঙালির আড্ডা,ইতিহাস প্রশ্ন,বাংলাদেশের খবর,বাংলাদেশের নিউজ,


পারস্যের ইতিহাসে নাদির শাহের আবির্ভাব যেমন চমকপ্রদ, তেমনি বিস্ময়কা। তিন তার স্বীয় প্রখভাবলে অতি সাধাররণ অবস্থা থেকে ঐতিহ্যবাহী পারস্যের সিহংহাসনে আরোহন করতে সক্ষম হন ্বংে এক যুগ ধরে প্রতীচে্যর ভাগ্যনির্ধারক হিসেবে বিরাজ করে। ঐতিহাসিক পি. সাইকস বলেন এভাবে আফসার গোত্রীয় মেষ চালক নাদির। তিনি তার সামরিক প্রতভাবলে ইরানকে আফগান, তুর্কি ও অন্যান্য আক্রমণকারী শত্রুদের কল হতে রক্ষ করে তার জীবনের চূড়ান্ত উচ্চাভিলাষ চরিতার্ত করলেন এবং মহাসমারোহে সাইরান নওশিরওয়ান এবং আব্বাসের সিংহাসনে উপবেশন করলেন।
 

নাদির শাহের পরিচয়

নাদির শাহ ছিলেন এশিয়ার শেষ এবং অন্যতম শ্রেষ্ট বীর। তিনি 1688 খ্রিস্টাব্দে খোরাসানের কালা কুহনা নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিলো ইমাম কুলি। নাদির শাহের প্রকৃত নাম ছিলো নাদির কুলি। তিন নিছেলন কিরকুল গোত্রের লোক। এ গোত্রের লোক সংখ্যা ছিলো খুব কম। এ কারণে দুর্বল কিরকুল গোতত্র কালক্রমে আফসারি গোত্রের সাথে মিশে যায়। তখন থেকে নাদির শাহ আফসারি বংশোদ্ভুত বলে ইতিজহাসে পরিচিতি লাভ করে।
 

পারস্যের রক্ষাকর্ত হিসেবে নাদির শাহ

পারস্যের সাফাভি বংশের মহা দুর্যোগের সময় নাদির শাহ আবির্ভাব ঘটে। এ সময় গালজাই আফগান, রাশিয়া, অটোমান উজবেক তুর্কিদের আক্রমনে পারস্য খণ্ড বিখণ্ড হয়ে পড়েছিলো এবং তার স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব চিরতরে নস্যাৎ হওয়ার উপক্রম হয়েছিলো। 

এমনি সময়ে নাদির শা পারস্যের স্বপক্ষে এসে সমস্ত বিদ্রোহ মোকাবিল কনে। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই নাদির শাহ লাগজাই আফগান শাক্তিকে ও আটোমান তুর্কিদের কে পরাজিত করে পারস্যের হৃত রাজ্যাংশ পুনরুদ্ধান করতে সক্ষম হন।
 

বিজেতা হিসেবে নাদির শাহ

নাদির শাহ এক রাজ্যাভিলাষী নরপতি ছিলেন। তিনি বিজেতা হিসেবেও অসাধারণ কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। তিনি সিংহাসন লাভের পরে রাজ্য বিস্তার করত েথাকনে। তিনি প্রথমেই আফগান ও বখতিয়ারদের দমন করেন। এরপরি তিনি বলখ অধিকার করেন। নাদির শাহ 1739খ্রিস্টাব্দে ভারত আক্রমন করেন। তিনি ভারত আক্রমন করে মুঘল শিক্তি পরাস্ত করেন এবং বোখারা এবং সিভা অধিকার করেন। নাদির শাহ তার সম্রাজ্যকে পূর্বে ওক্সাস হতে পশ্চিমে ইউফ্রেটিস এবং উত্তরে কাস্পিয়ান সাগর হতে দক্ষিনে সিন্ধুনদ পর্যন্ত বিস্তৃত করেন।
 

শাসক হিসেবে নাদির শাহ

নাদির শা দক্ষ সেনাপতি ও বিজেতা হিসেবে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখলেও শাসক হিসেবে তিনি সম্পূর্ণ অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। কারণ তার প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ও প্রতিভার প্রয়োজন ছিলো। এ প্রসঙ্গে পি.কে হিট্রি বলেছেন ”নাদির শাহরে মদ্যে রাষ্ট্রনীতিবিদের গুণাবলি ও ও শাসনতান্ত্রিক দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার অভাব ছিলো। আর এ অভিজ্ঞতার অভোবের জন্যই তিনি সাম্রাজ্যে অর্থনৈতিক উন্নতির ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সক্ষম হননি” নাদির শাহ সৈনিক ছিলেন বলেই সৈন্যবলকে তিনি তার শক্তির উৎস বলে মনে করতে। 

কিন্তু তিনি যদি দূরদর্শী শাসক হতেনে তাহলে স্বীয় অবস্থা দৃঢ় করার জন্য প্রথমেই সাম্রাজ্যের শান্তির প্রচেষ্ট এবং জনগণের সুশান্তি আনয়নের দিকে নজর দিতেন। অথচ তিনি তা না করে বিরাট সেনাবাহিনী পোষণ এবং যুদ্ধভিযান চরিতার্থ করতে গিয়ে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেন। তিনি ইচ্ছে করলেই ভারতের বিজয় লব্ধ বিপুল ধনসম্পদ দেশ ও জাতির স্বার্থে ব্যয় করতে পারতেন। 

কিন্তু তিনি তা না করে সমস্ত ধনসম্পদ কুক্ষিগত করে রাখেন। এর ফলে জনগণের কল্যাণে এ অর্থ ব্যয় ব্যবহৃত হয়নি। তার মৃত্যুর সাথে সাথে সব সম্পদ লুন্ঠিত হয়ে যায়। এজন্য বলা যায় নাদির শাহ দক্ষ শাসক হতে পারেনি।  

Next Post
No Comment
Add Comment
comment url